স্মার্টফোনে ফ্রড বা ক্ষতিকর অ্যাপ চেনার জন্য গুগল নতুন প্রযুক্তি এবং নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য নিয়ে এসেছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো:
১. Google Play Protect:
- বর্ণনা: Google Play Protect হলো গুগলের একটি বিল্ট-ইন নিরাপত্তা ব্যবস্থা, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্লে স্টোরের অ্যাপগুলো স্ক্যান করে এবং ক্ষতিকর অ্যাপস সরিয়ে ফেলে।
- কাজের পদ্ধতি: প্রতিদিন লাখ লাখ অ্যাপ স্ক্যান করে ক্ষতিকর কোড খুঁজে বের করে। যদি কোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপ শনাক্ত হয়, এটি ব্যবহারকারীকে সতর্ক করে এবং সেই অ্যাপটি ডিভাইস থেকে সরানোর প্রস্তাব দেয়।
- সুবিধা: প্লে প্রটেক্ট ডিভাইসে ইনস্টল হওয়া অ্যাপ নিয়মিত চেক করে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্ষতিকর অ্যাপকে ব্লক করে।
২. AI-বেসড অ্যানালাইটিক্স:
- বর্ণনা: গুগল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে অ্যাপগুলোর আচরণ পর্যালোচনা করে।
- কাজের পদ্ধতি: অ্যাপ ডাউনলোড ও ব্যবহারের সময় অ্যাপের আচরণ অ্যানালাইসিস করে এবং সন্দেহজনক কার্যকলাপ শনাক্ত করলে দ্রুত অ্যাকশনে যায়।
- সুবিধা: ডাটা চুরির জন্য অ্যাপের প্রতারণামূলক আচরণ সনাক্ত করতে সাহায্য করে।
৩. Enhanced App Permissions:
- বর্ণনা: গুগল সাম্প্রতিক আপডেটে অ্যাপ পারমিশন ব্যবস্থার উন্নতি করেছে, যাতে ব্যবহারকারী শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় অ্যাপগুলোকে বিশেষ অনুমতি দিতে পারেন।
- কাজের পদ্ধতি: প্রতিটি অ্যাপ কোন ডাটা ব্যবহার করছে, তা নিয়ন্ত্রণ করতে দেয়।
- সুবিধা: এতে ব্যবহারকারীরা অপ্রয়োজনীয় পারমিশন দেওয়া অ্যাপগুলো এড়িয়ে যেতে পারেন।
৪. Advanced Threat Detection and Warnings:
- বর্ণনা: গুগল সাইবার নিরাপত্তা টিম থেকে বিশেষ ধরনের সতর্কবার্তা দেয়।
- কাজের পদ্ধতি: অ্যাপের প্রতারণামূলক আচরণ শনাক্ত হলে দ্রুত ব্যবহারকারীদের সতর্ক করে।
- সুবিধা: ব্যবহারকারীরা কোনো ধরনের ঝুঁকির মুখোমুখি হওয়ার আগে সতর্ক হয়ে ব্যবস্থা নিতে পারেন।
৫. Google’s App Review Process:
- বর্ণনা: গুগল প্লে স্টোরে অ্যাপ আপলোডের জন্য গুগল একটি কঠোর মূল্যায়ন প্রক্রিয়া চালায়।
- কাজের পদ্ধতি: নতুন অ্যাপ আপলোডের আগে তা পর্যালোচনা করা হয় এবং ক্ষতিকর কোড, গোপনীয়তা নীতিমালার লঙ্ঘন বা প্রতারণামূলক আচরণ থাকলে তা সরিয়ে ফেলা হয়।
- সুবিধা: প্লে স্টোরে নিরাপদ অ্যাপ সরবরাহ নিশ্চিত হয় এবং ব্যবহারকারীরা ঝুঁকিমুক্ত থাকতে পারেন।
এগুলো ছাড়াও গুগল রেগুলার আপডেটের মাধ্যমে বিভিন্ন সিকিউরিটি প্যাচ সরবরাহ করে, যা স্মার্টফোনের সুরক্ষা বাড়ায়। গুগলের এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্মার্টফোনের ব্যবহারকারীরা এখন সহজেই ফ্রড বা ক্ষতিকর অ্যাপ থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পারেন।