বিকেলে ঘুমানোর প্রভাব ব্যক্তিভেদে এবং ঘুমের সময়কাল ও প্যাটার্নের ওপর নির্ভর করে। কিছু ক্ষেত্রে বিকেলের ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে, আবার কিছু ক্ষেত্রে এটি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। নিচে ডাক্তারি পরামর্শের আলোকে এর বিস্তারিত আলোচনা দেওয়া হলো:
বিকেলের ঘুমের উপকারিতা:
- শরীরের ক্লান্তি দূর করা:
- বিকেলে শরীর ক্লান্ত হলে ২০-৩০ মিনিটের সংক্ষিপ্ত ঘুম (“পাওয়ার ন্যাপ”) শরীর ও মনের সতেজতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
- স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ উন্নত করা:
- কাজের মাঝে ছোট বিরতিতে ঘুম মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে পারে।
- মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী:
- চাপ কমাতে এবং মুড উন্নত করতে কার্যকর।
বিকেলের ঘুমের ক্ষতিকর দিক:
- রাতে ঘুমের ব্যাঘাত:
- দীর্ঘ সময় বিকেলে ঘুমালে রাতে ভালোভাবে ঘুম আসতে সমস্যা হতে পারে।
- উদাসীনতা ও ক্লান্তি:
- দীর্ঘ বা গভীর ঘুম বিকেলে ঘুম থেকে ওঠার পরেও অবসাদ তৈরি করতে পারে।
- স্বাস্থ্যঝুঁকি:
- নিয়মিত ও দীর্ঘ বিকেলের ঘুম উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে বলে কিছু গবেষণায় উল্লেখ রয়েছে।
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক ঘুমের নিয়ম:
- পাওয়ার ন্যাপ নিন:
- ১৫-৩০ মিনিটের সংক্ষিপ্ত ঘুম বিকেলের জন্য আদর্শ। এটি সতেজতা এনে দেয় কিন্তু রাতের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায় না।
- বেলা ৩টার পরে না ঘুমানো:
- বিকেল ৩টার পরে ঘুমালে রাতের ঘুমের ওপর প্রভাব পড়তে পারে।
- ঘুমানোর সময়কাল নিয়ন্ত্রণ করুন:
- যদি আপনি রেগুলার রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম পান, তাহলে বিকেলের ঘুমের প্রয়োজন নেই।
- যদি ক্রনিক ক্লান্তি থাকে:
- যদি আপনি সব সময় ক্লান্ত অনুভব করেন, তা হলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন। এটি অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
বিকেলের ঘুম কাদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী?
- যারা রাতে কম ঘুমান।
- যারা মানসিক চাপ বা কাজের কারণে অতিরিক্ত ক্লান্ত।
- শিশু এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য।
তবে ঘুমের সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিজের জীবনযাত্রা ও স্বাস্থ্য অনুযায়ী বিকেলের ঘুমের প্যাটার্ন ঠিক করে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
1 Comment
Inshaallah, I’ll follow it.