ফেসবুক ক্রিয়েটরদের জন্য মনিটাইজেশন আরও সহজ এবং উপার্জন-বান্ধব করতে নতুন কিছু ফিচার এবং টুল নিয়ে এসেছে। নিচে সেগুলোর কয়েকটি উল্লেখ করা হলো:
১. Subscriptions (সাবস্ক্রিপশন):
- বর্ণনা: ক্রিয়েটররা তাদের ফলোয়ারদের জন্য সাবস্ক্রিপশন পরিষেবা চালু করতে পারেন, যেখানে সাবস্ক্রাইবাররা প্রতি মাসে নির্দিষ্ট ফি দিয়ে এক্সক্লুসিভ কনটেন্ট পেতে পারেন।
- উপকারিতা: এই ফিচারের মাধ্যমে নিয়মিত আয়ের সুযোগ তৈরি হয়, এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটররা সরাসরি তাদের ফ্যানদের কাছ থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
২. Stars Program (স্টার প্রোগ্রাম):
- বর্ণনা: লাইভ ভিডিওতে দর্শকরা তাদের পছন্দের ক্রিয়েটরদের “স্টার” নামে একটি ভার্চুয়াল উপহার পাঠাতে পারেন, যার মাধ্যমে ক্রিয়েটররা সরাসরি আয় করতে পারেন।
- উপকারিতা: লাইভ স্ট্রিমে ভক্তদের প্রতিক্রিয়া পাওয়া এবং সরাসরি উপার্জন সম্ভব।
৩. In-stream Ads (ইন-স্ট্রিম বিজ্ঞাপন):
- বর্ণনা: ক্রিয়েটররা তাদের ভিডিওতে ইন-স্ট্রিম বিজ্ঞাপন যোগ করে আয় করতে পারেন। এটি ফেসবুক স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওর ভিউ কাউন্ট, এনগেজমেন্ট ইত্যাদি বিবেচনা করে ইনস্টল করে দেয়।
- উপকারিতা: ইন-স্ট্রিম অ্যাড দিয়ে ভিডিও কন্টেন্ট থেকে আয়ের পথ উন্মুক্ত হয় এবং নিয়মিত ভিডিও পোস্ট করা ক্রিয়েটরদের জন্য এটি ভালো একটি আয় করার উপায়।
৪. Facebook Reels Play Bonus Program:
- বর্ণনা: এই প্রোগ্রামে নির্বাচিত ক্রিয়েটররা তাদের রিলের ভিউ এবং এনগেজমেন্টের ওপর ভিত্তি করে বোনাস আয় করতে পারেন।
- উপকারিতা: ক্রিয়েটরদের ইনস্পায়ার করে নতুন এবং আকর্ষণীয় রিল বানাতে, যা ফলোয়ারদের জন্যও বিনোদনের একটি বড় উৎস।
৫. Paid Online Events (পেইড অনলাইন ইভেন্টস):
- বর্ণনা: ক্রিয়েটররা ফেসবুকে অনলাইন ইভেন্ট হোস্ট করে এতে অংশগ্রহণের জন্য টিকিট বিক্রি করতে পারেন।
- উপকারিতা: এই ফিচারের মাধ্যমে লাইভ ক্লাস, কর্মশালা বা বিশেষ ইভেন্ট থেকে আয়ের সুযোগ পাওয়া যায়।
৬. Fan Subscriptions and Support Badges:
- বর্ণনা: ফেসবুক ব্যবহারকারীরা মাসিক সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে তাদের প্রিয় ক্রিয়েটরদের সমর্থন করতে পারেন এবং নির্দিষ্ট ব্যাজ পান।
- উপকারিতা: এতে ভক্ত এবং ক্রিয়েটরের মধ্যে সরাসরি সংযোগ এবং সমর্থন বৃদ্ধির সুযোগ থাকে।
৭. Collabs Manager (ব্র্যান্ড পার্টনারশিপ):
- বর্ণনা: ফেসবুকের কল্যাবস ম্যানেজারের মাধ্যমে ক্রিয়েটররা ব্র্যান্ডের সাথে সহযোগিতার সুযোগ পেতে পারেন।
- উপকারিতা: ব্র্যান্ডের সাথে পার্টনারশিপ করে স্পন্সরশিপ আয়ের সুযোগ তৈরি হয়।
এই ফিচারগুলো ফেসবুক ক্রিয়েটরদের জন্য মনিটাইজেশন প্রক্রিয়াকে সহজ করেছে এবং কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।